রিপন হোসেন সাজু,মণিরামপুর।। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশনায় প্রশাসন ক্যাডারকে করোনা মুক্ত করতে মণিরাম পুরের সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ তরুণ চিকিৎসক মেহেদী হাসানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ফ্রি টেলিমেডিসিনে দেওয়া চিকিৎসা পরামর্শ কার্যকরী হচ্ছে। এ পর্যন্ত তার পরামর্শে নারায়ণগঞ্জের ৪ ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২৪ জন করোনা মুক্ত হয়েছেন।
তারা হলেন-নারায়ণগঞ্জ জেলার ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার (৩৬ তম বিসিএস), আব্দুল মতিন (৩৭ তম বিসিএস), তানিয়া তাবাস্সুম (৩৫ তম বিসিএস) ও তার পরিবারের ৪ জন, মারুফ (৩৬তম বিসিএস), পুলিশ কর্মকর্তা সাকলাইন মাসুদ, ভিকারুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যের পরিবারে ৬ জন, হবিগঞ্জের এডিসি উম্মে ইরশাদ, জামালপুর সদরের এসিল্যান্ড মাহমুদা, গাইবান্দার ম্যাজিস্ট্রেট নুরশাদসহ ২৪ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়েছেন।
মণিরামপুর উপজেলার আগরহাটি গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আলহাজ্ব জবেদ আলী সরদারের ছেলে ডা. মেহেদী হাসান। ইতোমধ্যে তিনি একজন রোগীবান্ধব ডাক্তরের সুনাম কুঁড়িয়েছেন। অসহায়, গরীব রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন যতেœর সাথে। রোগীদের সাথে পরম মমতার বুলি দিয়ে, সাহস যোগানোর মতো আচরণ দিয়ে মানবিক ডাক্তারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অফিস সময়ের বাহিরেও তিনি রাত-বিরাতে দিয়ে যাচ্ছেন ফ্রি টেলিমেডিসিন সেবা। করোনার এ দুঃসময়ে ৪জন ম্যাজিস্ট্রেটসহ আরো ২৪জন করোনা মুক্ত করায় মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ডা. মেহেদী হাসান। তার এই সেবায়, তাকে নিয়ে গর্বিত মণিরামপুরবাসী।এ প্রসঙ্গে ডাক্তার মেহেদী হাসান বলেন, মানবিক কারনে আমার চিকিৎসা সেবাকে প্রযুক্তিতে প্রসারিত করেছি। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার আমাকে প্রশাসন ক্যাডারের লোকজনকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।
সাধারন লোকজনকেও সেবা দিচ্ছি। এ মহামারীতে নিজের সাধ্যমতো উজার করে দিচ্ছি। করোনায় আক্রান্ত হলে মনোবল শক্তি দুটোই দরকার হয়। এতে ভেঙ্গে পড়া যাবেনা। মাথায় রাখতে হবে সঠিকভাবে নিয়ম মানলে এসব রোগী এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।তিনি আরও বলেন, যে কাজ গুলি নিয়মিত করলে শরীরের ইমিউনিটি বাড়ে তার মধ্যে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে দিনে ৮ ঘন্টা প্রায়।
বেশি করে ভিটামিন সি, শাকসবজি, বাদাম এবং এন্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খেতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত চর্বিযুক্ত খাবার যেমনঃ অলিভ অয়েল, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে গরম পানির ভাপ নিতে হবে ১০ মিনিট করে প্রতিদিন ৫-৬ বার। গলায় ব্যাথা থাকলে হালকা কুসুম গরম পানিতে লবণ দিয়ে গড়গড় করতে হবে ৪-৫ বার। রোগী ও রোগীর পরিবারকে সাহস সঞ্চার করতে হবে। সকলের মনোবল চাঙ্গা রাখেন। যুদ্ধে হাতিয়ারের চেয়ে বড় মনোবল।